সময়ের পরিক্রমায় বাঙালির হৃদয়ের স্পন্দন বিজয়ের মাস, গৌরবের মাস ডিসেম্বর সমাগত। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ৯ মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধ শেষে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাক হানাদার বাহিনী। চূড়ান্ত বিজয়ের মধ্য দিয়ে অভ্যুদয় ঘটে বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।
বিজয়ের অনুভূতি সবসময়ই আনন্দের, সেই সঙ্গে বেদনারও। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং নির্যাতিত মা-বোনদের, যাদের আত্মত্যাগে আজ আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ দেশের মানুষ ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সকলের সম্মিলিত রক্তস্রোতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।
এ দেশের মানুষের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার ও স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সফল নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন অভিন্ন লক্ষ্যে অবিচল আত্মত্যাগকারী আস্থাভাজন ত্যাগী নেতা ও কর্মী।
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। যে নেতার জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। আমরা পেতাম না লাল-সবুজের পতাকা। স্বাধীনতার সেই মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি ৪৯তম বিজয়ের বার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস